তোমরা বাসা-বাড়িতে কোন কিছুর আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করা বা ছোটখাট জিনিসপত্র তৈরি করার জন্য কী ধরনের যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকো? নিশ্চয় তোমরা কিছু একটা দিয়ে কোনো দ্রব্য সামগ্ৰী বা কাৰ্যৰস্তুতে কাটা/ ছেদন করা/কর্তন করা/বর্ষণ করে ভাতে প্রয়োজনীয় আকার ও আকৃতি প্রদান করার চেষ্টা কর। মাছ, মাংস, সন্ধি আরো অনেক কিছু কাটতে নিশ্চয় ছুরি, চাকু, হাঁসুন্না, দা ইত্যাদি এমন অনেক কিছু ব্যবহার কর। আবার আসবাবপত্র তৈরি বা মেরামত করতে- করাত, বাটালী, মাটাম, পলিশ এরকম অনেক কিছু করে থাক।বাড়ির চারপাশে বাগান বা চাষাবাদ কাজে কাঁচি কান্তে, নিড়ানি, পাল এরকম অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করো, এমনকি তোমরা দেখে থাকো, দালান-কোঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণে কোদাল, বেলচা, চিজেল, গ্রাইন্ডার এরকম অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়। বিভিন্ন শিল্প-কলকারখানা ও ওয়ার্কশপে কোনো বস্তুর আকার-আকৃতি প্রদানরে যা কিছু করা হয় তা এ অধ্যারে আমরা জানব এবং বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রপাতির সাথে পরচিত হৰ ।
জব বা কার্যবস্তু থেকে অপ্রয়োজনীয় ধাতু বা পদার্থকে অপসারণ করে প্রত্যাশিত আকার দিতে সাহায্যে করে। কাটিং টুলের দেহ বা বডিকে শ্যাঙ্ক বলে, শ্যাঙ্কের শেষ প্রান্তেই কাটিং অংশ থাকে। কাটিং টুলগুলি হীরা (Diamond), উচ্চ গতির ইস্পাত (High Speed Steel), সিমেন্টেড কার্বাইড (Cemented Carbide), সারমেট (Cermet), সিরামিক্স (Ceramics) ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে।
কাটিং টুলকে কাটিং এজ বা কাটিং পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
• সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুল
• মাল্টি-পয়েন্ট কাটিং টুল।
সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলে একটি মাত্র কাটিং এজের মাধ্যমে কার্যবস্তু থেকে ধাতু অপসারণ করা যায়। যেমন- শেয়ার টুল, লেদ টুল, প্লেনার টুল ইত্যাদি। কার্যবস্তুর ধাতুকে অপসারণের উপর ভিত্তি করে কাটিং টুলকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন-
• টার্নিং টুল (Turning Tool )
• শেপিং টুল (Shaping Tool )
• প্লানিং টুল (Planning Tool)
• স্লটিং টুল (Slotting Tool )
• বোরিং টুল (Boring Tool )
যন্ত্রাংশ বা সরঞ্জাম বিবেচনায় আরো সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলস আছে। যেমন-
• ফ্লাই কাটার (Fly Cutter)
• শিয়ার্স (Shears)
• শিপস (Snips)
• ওয়েলডার্স (Welders)
• এজ চামফারিং কাটিং টুল (Edge Chamfering Cutting Tool) ইত্যাদি।
কার্যবস্তুতে প্রয়াজনীয় আকৃতি প্রদানের ভিত্তিতে সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলসকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়-
• সাইড কাটিং টুল (Side Cutting Tool)
• গ্লুডিং টুল (Grooving Tool )
• থ্রেড টুল (Thread Tool)
• ফরম টুল ( Form Tool)
• ভি-টুল (V- Tool)
মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুলে দুই বা দু'য়ের অধিক কাটিং এজ থাকে, যা একই সাথে কার্যবস্তু থেকে ধাতু অপসারণ করে। যেমন- মিলিং কাটার, ড্রিল বিট, গ্রাইন্ডিং হুইল ইত্যাদি
মেশিনের উপর ভিত্তি করে মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুলকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
মিলিং কার্টার (Milling Cutter)
• রিমার (Reamer )
• ব্রোচ (Broach)
• গ্রাইন্ডিং হুইল (Grinding Wheel)
• হােন (Hone)
যন্ত্রাংশ বা সরঞ্জাম বিবেচনায় মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুলস। যেমন-ড্রিল (Drill), চপ'স (Chop Saw), গ্রাইন্ডার (Grinder), রোটারি কার্টার (Rotary Cutter),সেন্টার ড্রিলস (Centre Drills), কাঁচি (Scissors), রিমার (Reamer), সীম রিপার (Seam Ripper) ইত্যাদি।
কাটিং টুলের গতি বিবেচনা করে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
1. সরল রৈখিক গতি (Linear Motion )- Lathe Tools, Brooches
2. ঘুর্ণায়ন গতি (Rotary Motion ) - Milling Cuttons, Grinding Wheels
3. সরল রৈখিক ও ঘুলীয়ন গতি (Linear and Rotary Motion ) - Drills, Taps ইত্যাদি।
সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের নোজ রেডিয়াস (Nose Radius) এবং মৌলিক কোণসমূহের পর্যায়ক্রমিক তালিকা যে সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তাকে টুল সিগনেচার বলে।
নিচে একটি সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের মৌলিক কোণসমূহকে টুল জিওমেট্রী বলে।
সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের টুল জিওমেট্রি দেখানো হলো-
শ্যাঙ্ক (Shank)
ফ্লাংক (Flank)
ফেস (Face)
হোল (Hool)
নৌজ (Nose)
নৌজ রেডিয়াস (Nose Radius )
কাটিং এজ (Cutting Edge) ইত্যাদি।
শ্যাঙ্ক -শ্যাঙ্ক কাটিং টুলের মূল দেহ, যা কাটিং টুলকে ধরে রাখতে সাহায্যে করে।
ফ্ল্যাংক- কাটিং টুলের কাটিং এজের নিচে লাগালাগি তল ৰা তলসমূহকে ফ্লাংক বলে।
ফেস- কাটিং টুলের যে তলের উপর দিয়ে চিপ পড়ে পড়ে যায় তাকেই ফেস বলে।
এটি কাটিং টুলের ফ্র্যাঙ্ক ও বেজের মধ্যেকার ইন্টারসেকশন।
হিল- কাটিং টুলের তলা থেকে নোজ পর্যন্ত কোপকেই হিল বলে।
নৌজ-সাইড কাটিং এজ এবং এন্ড কাটিং এজের মিলিত বিন্দুকেই নোজ বলে।
নোজ রেডিয়াস-সাইড কাটিং এজ এবং এন্ড কাটিং এজের মিলিত বিন্দু পয়েন্ট আকারে বা সূঁচালো না করে কিছুটা বুঝাকার করা হয়; আর এই অংশকেই নোজ রেডিয়াস বলে। ফলে টুলের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায় এবং সারফেস ফিনিশওভাল হয়।
কাটিং এজ: কাটিং টুলের ফেসের উপরের এজকেই কাটিং এজ বলে। যাহা কার্যবস্তু হতে ধাতু অপসারণ করে থাকে। ইহা টুলের সাইড কাটিং এজ এবং এন্ড কাটিং এজ নিয়ে গঠিত।
• সাইড কাটিং এজ অ্যাঙ্গেল (Side Cutting Edge Angle )
• এন্ড কাটিং এজ অ্যাঙ্গেল (End Cutting Edge Angle )
• সাইড রিলিফ অ্যাঙ্গেল (Side Relief Angle)
• ব্যাক ব্ল্যাক অ্যাঙ্গেল (Back Rack Angle)
• সাইড র্যাক অ্যাঙ্গেল (Side Rack Angle)
টুলের ফেস টুল হোল্ডার বেসের সমান্তরাল রেখার সাথে যে কোণ তৈরি করে তাকে ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেল বলে। চিপ প্রবাহের দিককে পরিচালিত করা এবং কাটিং পয়েন্টকে রক্ষা করাই এই অ্যাঙ্গেলের উদ্দেশ্য। ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেলের পরিমাণ কার্যবস্তুর উপর নির্ভর করে।
• পজিটিভ ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেল;
• নেগেটিভ ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেল;
• নিউট্রাল ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেল।
ফেস এবং বেসের সমান্তরাল তলের মধ্যে যে কোণ সৃষ্টি হয় তাকে সাইড র্যাক অ্যাঙ্গেল বলে। এ কোণের উপর চিপস বাঁকা হওয়া নির্ভর করে। অ্যাঙ্গেল বেশি হলে বাঁকা হওয়ার পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু তলের মসৃণতা বৃদ্ধি পায়। অ্যাঙ্গেল কমে গেলে চিপস বেশি বাঁকা হয়।
এন্ড ফ্ল্যাঙ্ক টুল বেসের লম্ব রেখার সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে এন্ড রিলিফ অ্যাঙ্গেল বলে। ওয়ার্কপিস এবং টুলের মধ্যে ঘর্ষণ রোধে এ কোণ সহায়তা করে থাকে। যদি কোণ বড় হয় তাহলে টুলের কাটিং এজ সাপোর্ট বিহীন হয়ে পড়ে এবং ভেঙ্গে যায়। আবার যদি এ কোণ খুব ছোট হয়, তাহলে জবের সাথে কাটিং টুলের ঘর্ষণের ফলে কর্তন ঠিক মতো হয় না এবং ভালো মসৃণও হয় না। এ কোণ ৬° থেকে ১০° পর্যন্ত উঠা- নামা করে।
পার্শ্ব ফ্ল্যাঙ্ক এবং টুল বেসের লম্বা রেখার সাথে সৃষ্ট কোণকে সাইড রিলিফ অ্যাঙ্গেল বলে। এ অ্যাঙ্গেলের কারণে ঘর্ষণ ছাড়াই মেশিনিং করা যায়।
সাইড কাটিং এজ অ্যাঙ্গেল কে অনেক সময় লীড অ্যাঙ্গেল ও বলে। কাটিং টুলের শ্যাঙ্ক সাইড ও সাইড কাটিং এজের মধ্যেকার কোণকেই সাইড কাটিং এজ অ্যাঙ্গেল বলে।
টুলফেস টুল শ্যাঙ্কের পার্শ্বতলের লম্ব রেখার সাথে যে কোণ সৃষ্টি করে তাকে এন্ড কাটিং এজ কোণ বলে। ওয়ার্কপিস এবং টুলের কিনারার মধ্যে ঘর্ষণ পরিহার করার জন্য এ অ্যাঙ্গেল দেয়া হয়।
অন্যান্য কাটিং টুলসমূহ যেমন-
জনের প্রয়োজন অনুসারে এটি বিভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে। এটি এমন এক ধরনের কাটিং টুল যাহা কার্যবযুদ্ধে ছিদ্র করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ফ্লিল বিটের অথায় শৌর্য বা আপা) কাটিং অংশ থাকে এবং টিপগুলি বের হয়ে আসার জন্য বর্ষিতে গাঁজ (Groove) থাকে।
রিষার এক ধরনের মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুল। কার্যবস্তুতে ত্রি করার কাজে ছিল ব্যবহৃত হয়। অপারেশনের পরে ঐ ছিদ্রকে অধিক মসৃনতার জন্য ব্যবহার করা হয়। কাজের ধরণ অনুসারে রিমারের একাধিক কাটিং প্রায় (Edges) থাকতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রিনারের কাচার অংশ করেক খাপের ভয় যা কিনা ছিদ্রে ব্যাসের ধরনের উপর নির্ভর করে ।
এটি মাল্টিরেট কাটিং টুল বাহা ভিক্ষ বা নলাকার (Disk or Cylindrical Body) সেহের প্রাে সাজানো থাকে। এ ধরনের কাটিং টুল মিলিং মেশিন ও মিলিং সেন্টারে ব্যবহৃত হয়। এডমিল (Bndmill) শ্যাঙ্ক টাইণ বভির প্রান্তে কাটিং অংশ থাকে, বিশ্বাস এর নাম এন্ড বিলও বলা হয়।
ব্রোঞ্চ এমন এক ধরনের কাটিং টুল যার সাহায্যে কোন ছিদ্রের তলকে মেলিনিং করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ব্রোচ বারের মতো দন্ড বা ৰটিতে অসংখ্য কাটিং এফ থাকে যাহা ঘূর্ণায়মান অবস্থায় কাজ করে।
কোন ছিদ্রের ভিতরে থ্রেড কাটার কাজে কাটিং টুল হিসাবে থ্রেড কাটিং ট্যাপ ব্যবহার হয়। কোন গোলাকার বস্তুর বাইরের পৃষ্ঠে গ্রেড কাটার জন্য ডাই ব্যবহার করা হয়।
ট্যাপ এক প্রকার মেটাল কাটিং টুল যা দিয়ে গোলাকার ছিদ্রের ভিতরে অভ্যন্তরীণ স্কু- থ্রেড (Internal Thread) ৰা প্যাঁচ কাটা হয়। ট্যাগ হাই কার্বন স্টিল বা হাই স্পিড স্টিল দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে এবং খু-গ্রেড কাটা অংশটি টেম্পার করা থাকে। টেম্পার দেয়ার কারণে ট্যাপ কিছুটা ভঙ্গুর হয়, তাই সতর্কতার সাথে ট্যাপিং করতে হয়। ট্যাপিং করার পূর্বে ওয়ার্কপিলের নির্দিষ্ট জায়গার প্রথমে ইন্টার্নাল গ্রেডের ব্যাস অনুযায়ী ড্রিল করে নিতে হয়। উল্লেখ্য যে, ইন্টার্নাল ােডের মাইনর ডায়ামিটারের সমান ডায়ামিটারের ছিদ্র করতে হয়। একটি ট্যাপ রেঞ্চের সাহায্যে ট্যাপ এর শ্যাংক-কে দৃঢ়ভাবে আটকিয়ে দৃঢ়ভাবে ভাইসে যথা ওয়ার্কপিসের ছিদ্রের মধ্যে আস্তে আস্তে ঘুরিয়ে ট্যাপকে প্রবেশ করাতে হয়। মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে লুব্রিকেটিং ওয়েন দিতে হয়। ট্যাপিং এর জন্য হ্যান্ড ট্যাগ, ট্যাপ ব্রেক, কার্যবস্তু, ওয়েলক্যান এবং ট্রাই-স্কয়্যার প্রয়োজন হয়।
ডাই এক প্রকার মেটাল কাটিং টুল যা সিলিন্ডিক্যাল জব, পাইপ, গোলাকার রড এর উপরিভাগে স্ক্রু-শেড বা প্যাঁচ উৎপন্ন করতে ব্যবহৃত হয়। এটা হাই কার্বন স্টিল বা হাই স্পিডস্টিল দিয়ে তৈরি হয়। তাই এর গ্রেড অংশ শক্ত এবং টেম্পার করা থাকে। ভাই ট্যাগ এর মত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড মাপের স্ক্রু-থ্রেড তৈরি করতে বিভিন্ন মাপ বিশিষ্ট হয়ে থাকে। তাই দ্বারা গ্রেড কাটার পর একে সমান মাপের ট্যাপিং করা স্লেড বিশিষ্ট ছিদ্রের মধ্যে প্রবেশ করানো যায়। অবশ্য বোল্টকে নাটের মধ্যে ঢোকাতে গেলে নাট অথবা বোল্ট যে কোনো একটিকে ক্রমাগত ঘুরাতে হবে। তাই সাধারণত চ্যাপ্টা হয় এবং এর মধ্যে থ্রেডের সংখ্যা কম থাকে।
ডাই-এর ভিতরে থ্রেড কাটা থাকে। থ্রেড কাটা শুরু করার সুবিধার্থে ডাই-এর এক পার্শ্ব চ্যাম্ফার করা থাকে এবং এই পার্শ্বেই ডাই-এর স্পেসিফিকেশন লেখা থাকে। ডাই- এর স্পেসিফিকেশন দেখে ব্রেড স্ট্যান্ডার্ড আউটসাইড ডায়ামিটার ও থ্রেডের পিচ জানা যায়। ডাই-কে ভাইণ্টক- এর মধ্যে শক্তভাবে আটকিয়ে ওয়ার্কপিসের উপর ঘুরিয়ে থ্রেড উৎপন্ন করতে হয়। ট্যাপ দ্বারা যেসব স্ট্যান্ডার্ড ব্ৰেড তৈরি করা যায়, ভাই দ্বারাও সেসব স্ট্যান্ডার্ড গ্রেথ তৈরি করা যায়।
কার্যবস্তুর কাঠিন্যতার (Hardness) উপর ভিত্তি করে কাটিং টুল তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়ার ব্যবহার করা হয়। এগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করা হল ।
সাধারণত কম গতির মেশিন অপারেশনের জন্য কার্বন টুল ইস্পাত ব্যবহার করা হয়। কার্বন স্টিল ঘর্ষণ প্রতিরোধী হওয়ায় কাটিং এজের ধারালো অংশ সহজে নষ্ট হয় না। কার্বন স্টিলের মেশিনিং এবিলিটির গুনগত মান ভাল। তবে ২৫০ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রায় এর কাঠিন্যতা হ্রাস পায় বিধায় আধুনিক মেশিন অপারেশনে কম ব্যবহার হয়। তুলনামূলক নরম ধাতু যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ব্রাস ইত্যাদি মেশিনিং এ মিলিং, টার্নিং, ফরসিং ও টুইন্ট ড্রিল হিসাবে কার্বন টুল ইস্পাত ব্যবহার করা হয়।
হাই কার্বন ইস্পাতের সাথে সংকর ধাতু হিসাবে টাংস্টেন, মলিবডেনাম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদির মিশ্রনে হাই- স্পিড স্টিল তৈরি করা হয়। মেমিনিং এর সময় টুল ও জবের ঘর্ষণে উচ্চ তাপ মাত্রার সৃষ্টি হয়। টুলের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করার জন্য মেশিনিং এর সময় কুল্যান্ট ব্যবহার করা হয়। তবে ৬৫০ ডিগ্রী সেন্সিগ্রেড তাপমাত্রায় এর কাঠিন্যতা হ্রাস পায়। হাই স্পী স্টিল বিভিন্ন ছিল, মিলার কার্টার্স, সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুল, ব্রোচ (Broach) ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।
সিমেন্টেড কার্বাইড টুল মেটেরিয়ালে বাইন্ডার হিসাবে কোবাল্টসহ ট্যানট্যানাম, টাংস্টেন ও টাইটানিয়াম কার্বাইড ব্যবহার হয়। সিমেন্টেড কার্বাইড কাটিং টুলগুলি খুব শক্ত এবং ১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর উপর তামপাত্রায়ও ভাল ভাবে কাজ করতে পারে।
সিরামিক টুলে উপকরণ হিসাবে জ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড এবং সিলিকন নাইট্ৰাইড ব্যবহৃত হয়। পদার্থের উচ্চ সংবেদনশীল (Sensitive) গুণ রয়েছে এবং ১৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। সিরামিক টুলে কাটিং টুলের টুল ফেস ও চিপের সাথে ঘর্ষন কম হয় এবং তাপ পরিবাহিতা ক্ষমতা কম বলে মেশিনিং এ কুল্যান্ট ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না; বরং কার্যঙ্কুর তলে ভালভাবে মসৃনতা পাওয়া যায়।
হীরার পরে এটিই দ্বিতীয় শক্ত ধাতু বলে গ্রাইন্ডিং হইলে ক্ষয়কারী পদার্থ হিসাবে অধিক ব্যবহৃত হয়। এ জাতীয় পদার্থ নিজে খুবই কম ক্ষয় হয় ফলে গ্রাইন্ডিং হইল সহজে নষ্ট হয় না।
হীরা সবচেয়ে শক্ত পদার্থ ও ব্যয়বহুল। হীরা উচ্চতাপ পরিবাহিতা এবং উচ্চ গলনাঙ্ক গুণসম্পন্ন পদার্থ। তাপের প্রসারণ কম ঘটে এবং উচ্চ ক্ষয় প্রতিরোধী। মেশিনিং কাজে কার্যবস্তুর সঠিক আকার ও মসৃণ ভল উৎপাদনে হীরার তৈরি টুলের তুলনা হয় না।
ড্রিল বিট একটি মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুল। এটি মেশিনের সাহায্যে ঘুরিয়ে কোন বস্তুকে ছিদ্র করতে কিংবা ছিদ্রকৃত বস্তুর ছিদ্রের ব্যাস বড় করতে ব্যবহৃত হয়। এটা হাই স্পিড স্টিল অথবা হাই কার্বন স্টিল দ্বারা তৈরি করা হয়। ড্রিল বিটের শ্যাঙ্কে কোন মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি তা চিহ্নিত করা থাকে।
একটি ড্রিল বিট বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত যেমন-
• শ্যাঙ্ক (Shank)
• লিপ বা কাটিং এজ (Lip or Cutting Edge)
• ডেড সেন্টার (Dead Center)
• ট্যাং (Tang )
• ফুট (Flute)
ওয়েব (Web)
• মার্জিন (Margin)
• বডি ক্লিয়ারেন্স (Body Clearance)
ড্রিল চাক বা মেশিন স্পিডলে আটকানোর জন্য ব্যবহৃত অংশকে শ্যাঙ্ক বলা হয়। ড্রিল বিটের শ্যাঙ্ক সাধারণত দু'ই প্রকারের হয়। যেমন-
• স্ট্রেইট বা প্যারালাল শ্যাঙ্ক (Straight or Parallel Shank ):স্ট্রেইট বা প্যারালাল শ্যাঙ্ক সমান মাপের গোল আকারের থাকে। সাধারণত ছোট আকারের ড্রিল বিটের শ্যাঙ্ক ১২ মিমি হয়ে থাকে।
• টেপার শ্যাঙ্ক (Taper Shank)টেপার শ্যাঙ্ক বিশিষ্ট ড্রিল বিটের মাথার অংশ থেকে ক্রমশ সরু হয়। সাধারন ৩ মিমি থেকে বেশী ব্যাসের ড্রিল বিট টেপার শ্যাঙ্ক বিশিষ্ট হয়।
টেপার শ্যাঙ্ক ড্রিল বিটে টেপারের শেষে খানিকটা জায়গা চ্যাপ্টা করে কাটা থাকে। এই চ্যাপ্টা অংশের নাম ট্যাং। ড্রিল বিট ঘুরে গিয়ে বা স্লিপ করে যাতে খুলে না যায় তার জন্য এই অংশ কাজ করে। ট্যাং কোন ক্ষতি ব্যতিরেকে সকেট বা স্পিন্ডল থেকে ড্রিফট এর সাহায্যে ড্রিল বিটকে বের করা হয়।
ড্রিল বিটের বডিতে যে গ্রুভ কাটা থাকে তাকে ফুট বলে। এটা টুইন্ট ড্রিল বিটের মোচড়ানো থাকে। সাধারণত ড্রিল বিটে দু'টি ফ্রুট থাকে। ফ্লুট এর গভীরতা সকল স্থানে সমান থাকে না। ফ্রুট কাটিং এজ থেকে শ্যাঙ্কের দিকে যতই অগ্রসর হতে থাকে ততই এর গভীরতা কমতে থাকে এবং প্রশস্ততা বাড়তে থাকে। ফুটের এ প্রকার গঠনের কারণে কর্তিত ধাতু খন্ডগুলি ছিদ্রের মধ্য হতে বাহির হয়ে আসার সময় ড্রিলের গাত্র হতে অনবরত সরে আসতে সহায়তা করে। ফ্রুট থাকার ফলে যে সমস্ত সুবিধা পাওয়া যায় তা হলো-
• ফুট কাটিং এজ গঠনে সহায়তা করে;
• ইহা কর্তিত খন্ডগুলিকে কুঞ্চিত করে;
• ইহা কর্তিত খন্ডগুলিকে ছিদ্রের মধ্যে হতে বের হয়ে আসার পথ করে দেয়;
• ইহা পানি বা কাটিং ফ্লুইডকে কাটিং এজ পর্যন্ত পৌঁছাতে সাহায্য করে ইত্যাদি।
ফ্লুটের পার্শ্ব বরাবর সরু এবং উঁচু অংশকে মার্জিন বলে। ড্রিল বিটের উপরিভাগে, যে স্থানটুকু অব্যাহত রেখে অবশিষ্ট স্থানকে ক্ষয় করা হয়ে থাকে তা-ই মার্জিন। মার্জিনসহ ড্রিল বিটের যে ব্যাস পাওয়ায় যায় তাকে পূর্ণ ব্যাস বলা হয়। মার্জিনের অপর নাম ল্যান্ড। মার্জিন সাধারণত ১.৫ মিমি থেকে ৩ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। মার্জিন ড্রিল বিটের সমগ্র উপরিভাগকে ঘর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করে।
ছিদ্র করার সময় ড্রিল বিট যে তীক্ষ্ণ অংশ দ্বারা ধাতুকে কাটে তাকে ড্রিল বিটের কাটিং এজ বলা হয়। প্রতিটি ফ্রুট দ্বারা এক একটি কাটিং এজ গঠিত হয়। কাটিং এজের দৈর্ঘ্য সর্বদা সমান থাকা প্রয়োজন। ড্রিল বিটকে সাধারণত ডানদিকে ঘুরানো হয় বলে কাটিং এজও অনুরুপভাবে ডানদিকে কাটার উপযোগী করে তৈরি করা হয়। কাটিং এজের দু'পাশের দৈর্ঘ্য সমান না হলে ছিদ্র বড় সাইজ হয়ে থাকে ।
ট্যাং এর বিপরীতে সর্বশেষ প্রান্তে ড্রিল অক্ষ বরাবর তীক্ষ্ণ এজকে ডেড সেন্টার বলা হয়। এটি ভিল বিটের পয়েন্ট বা সেন্টার হলেও প্রকৃতপক্ষে একটি বিন্দুতে থাকে না, এর নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য থাকে। সরু ছিলের বেলায় এই ডেড সেন্টার বিন্দুর মত দেখালেও বড় ড্রিল বিটের বেলায় এই দৈর্ঘ্য ৩ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ড্রিল বিটের ফুট বাদ দিলে মাঝখানে যে সিলিটিক্যাল সারফেস থাকে তার নাম ওয়েব। অর্থাৎ ড্রিল বিটের সমস্ত দৈর্ঘ্য ব্যাপী উভয় ফুটের মধ্যবর্তী স্থানকে ওয়েব বলা হয়। এটি ছিল বিটের ধাতব দক্ষ যা ড্রিল বিটকে শক্তিশালী করে। এর পয়েন্টের দিক থেকে ওরেষ শ্যালের দিকে ক্রমশ মোটা হয়।
ড্রিল বিটের মার্জিনের ব্যাস থেকে বডির ব্যাস কিছুটা কম রাখা হয়। উভয় প্রকার মাপের পার্থক্যকেই বঞ্চি ক্লিয়ারেন্স বলা হয়। বডি ক্লিয়ারেন্স থাকার কারণে ড্রিল বিটের সারফেসের সাথে ছিদ্রের সারফেসে ঘর্ষণ লাগে না। ফলে ড্রিল বিট ও কার্যবস্তু গরম কম হয় ।
ড্রিল বিটকে বস্তির গঠন অনুযায়ী সাধারণত দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। যেমন-
এই প্রকার ছিল বিটের মুখের সন্নিহিত স্থান সম হয়। সাধারণত কামারশালায় পিটিয়ে এটি তৈরি করা হয়। এটি অতি সহজে, কম খরচে সময়ে তৈরি করা যায়।
টুইন্ট ড্রিল বিট (Twist Drill Bit) এই প্রকার ছিল বিটের উপরিভাগে মোচড়ানো বা প্যাঁচানো রকমের নালী বা ফুট কাটানো থাকে। এটা আধুনিক মেশিন দ্বারা তৈরি করা হয়। টুইস্ট ড্রিল বিটকে প্রধানত দু'ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
• স্ট্রেইট শ্যাঙ্ক ড্রিল বিট (Straight Shank Drill Bit)
কার্যবস্তুর পদার্থ | পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল |
---|---|
স্টিল, কাস্ট আয়রন, অ্যালয়েড ও নন-অ্যালয়েড কাস্টিং | ১১৮° |
ব্রাস, ব্রোঞ্জ, নিকেল, জিঙ্ক অ্যালয় ও হোয়াইট মেটাল | ১১৮° |
হিটট্রিটেড স্টিল, অ্যালয় স্টি | ১২৫-১৩৫° |
স্টেইনলেস স্টিল | ১৪০° |
হোয়াইট কাস্ট আয়রন, স্টিল রেইল | ১৫০° |
কপার, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক, শক্ত রাবার, নরম কাস্ট আয়রন | ৮০ -১০০° |
কাঠ | ৬০° |
পয়েন্ট কাটিং এজের ঠিক পিছনের অংশে যা গ্রাইন্ডিং করে কমানো হয় অর্থাৎ কাটিং এজের পশ্চাৎ দিকে যে কোপে ঢালু করা থাকে তাকে ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল বলে । ধাতু ভেদে এই কোলের পরিমাণ বিভিন্ন রকম হয়। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো-
ধাতৰ পদাৰ্থ | ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল |
---|---|
নরম স্টিল, সাধারণ স্টিল ও সাধারণ কাস্ট আয়রন | ১২-১৫° |
শক্ত স্টিল | ৮-১২° |
ব্রাস, ব্রোঞ্জ, কপার ও অ্যালুমিনিয়াম | ১২-১৫° |
প্লাস্টিক ও শক্ত রাবার | ১৫-২০° |
কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করার ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনে তোমরা সিলোল পয়েন্ট কাটিং টুল বা লেদ টার্নিং টুল এবং মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং এর জন্য একটি টুইট ছিল বিট গ্রাইন্ডিং করবে।
আমরা জেনেছি সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের একটি মাত্র কাটিং এজ ও বডি বা শ্যাঙ্ক থাকে। এই টুল লেদ, টারেট লেদ, প্লেনার, শেপার, বোরিং ও মিলিংসহ একই ধরনের সিঙ্গেল ও মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুল বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। সিঙ্গেল পরেন্ট কাটিং টুলের কাটিং পয়েন্ট কাটিং ফেস, এক ফ্ল্যাঙ্ক, সাইড ফ্ল্যা এবং বেজ নিয়ে গঠিত। চিপস ফেসের উপর দিয়ে পড়িয়ে বের হয়। কাটিং টুলে দুটি এজ থাকে, একটি সাইট কাটিং এজ, অন্যটি এন্ড কাটিং এজ। সাইড কাটিং এজটি ফেস ও ক্ল্যাঙ্ক এর মিলিতস্থান; ভল্লুপ এন্ড কাটিং একটি ফ্ল্যাঙ্ক ও বেজের এর মিলিতস্থান। এন্ড কাটিং এজ এবং সাইড কাটিং এজের মিলিত স্থানকেই নোজ পয়েন্ট বলে। সচারচর সাইড কাটিং এজ দিয়েই চিপস কাটা হয়।
কোন কিছুকে ক্ষয় করার একটি প্রক্রিয়ার নাম গ্রাইন্ডিং; ক্ষয়কারী টুল হিসাবে গ্রাইন্ডিং হুইল ব্যবহার করা হয়। হুইল সাধারণত ক্ষয়কারী ও নিজে ক্ষয়রোধী বৈশিষ্ট্য পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। ইহা সাধারণত শক্ত পাথর কণা, কার্বন, কাৰ্বাইড, সংকর ধাতু ইত্যাদি পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। গ্রাইন্ডিং হুইলের ধরন অনুযায়ী কোন বস্তু হতে ঘর্ষণের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় পাদার্থ দ্রুত অপসারণ করা যায়, ঠিক তেমনি কোন অমসৃণ ভলকে বিভিন্ন মানে মসৃনও করা যায়।
গ্রাইন্ডিং হুইল সাধারণত কার্যবস্তুর উপাদানের মসৃণতার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সংকর পদার্থের মিশ্রনে তৈরি হয়ে থাকে। গ্রাইন্ডিং হুইলের পরিমাপের ক্ষেত্রে বাহিরের ব্যাস, হুইলের পুরুত্ব ছিদ্রের ব্যাস দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
যেমন- ১৫০ মিমি x ২৫ মিমি x ৩০ মিমি হুইল বলতে বোঝায়- বাহিরের ব্যাস ১৫০ মিমি, পুরুত্ব ২৫ মিমি ও ছিদ্রের ব্যাস ৩০ মিমি ।
গ্রাইন্ডিং কাজে ব্যবহৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন ও হুইলের নিরাপদ অবস্থান প্রয়োজন। যে গ্রাইন্ডিং করবে তাকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে, ঠিক তেমনি গ্রাইন্ডিং মেশিনেরও নিরাপত্তা সরগ্রাম থাকতে হবে। সচারচর গ্রাইন্ডিং মেশিনের সাথে নিম্নে বর্ণিত সেফটি সামগ্রী সংযুক্ত করা থাকে।
• বাই শিল্ড (Bye Shield) বা ফেস পার্ড (Face Guard)
• হুইল গার্ড (Wheel Guard)
• ওয়েলকার্ড (Wheel Cruard) ইত্যাদি।
আই শীল্ড অপারেটরের চক্ষুকে হুইলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অ্যাব্রোসিড (Abrasive) কণা এবং ধাতুচুর্ণ হতে রক্ষা করে। আই শীল্ড স্বচ্ছ ও নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন। কার্যবস্তুকে উত্তমরূপে দেখার জন্য অনেক ক্ষেত্রে আই শীল্ডের নিচের দিকে বৈদ্যুতিক বাহু লাগানোর ব্যবস্থা থাকে। আই শীল্ডের অবস্থান সবসময় কার্যবস্তু এবং অপারেটরের চক্ষুর মধ্যবর্তী অবস্থান নিশ্চিত করতে হয়।
কোনো বস্তুকে ঘুরন্ত গ্রাইন্ডিং হুইলের সংস্পর্শে আসতে হুইল গার্ড বাধা দেয় এবং হুইলকে বাহ্যিক আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া কোন দুর্ঘটনার কারণে ঘুরন্ত হুইল ভেঙ্গে গেলে এর ভগ্নাংশ যাতে চারদিকে ছিটে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে হইল পার্ড সাহায্য করে।
টুল রেস্ট এমন এক ধরনের সাপোর্ট যা কার্যবস্তুকে টুল রেস্টের উপর রেখে নিরাপদে গ্রাইন্ডিং করা হয় এবং ইহা কাটিং টুল বা কার্যবস্তুকে নিরাপত্তার সাথে কাজ করতে সাহায্য করে। টুল রেস্ট ও হুইলের মধ্যে খুবই কম ফাঁকা থাকে; ফলে গ্রাইন্ডিং হুইল টুল রেস্টকে প্রায় স্পর্শ করে ঘুরে কিন্তু কোন বিপদের সম্ভাবনা থাকেনা।
গ্রাইন্ডিং হইল তৈরিতে বন্ডিং পদার্থের সাথে ক্ষয়কারী পদার্থের কথা ব্যবহার করা হয়। যেমন-
• অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Aluminium Oxide)
• সিলিকন কার্বাইড (Silicon Carbide)
• ডায়মন্ড (Diamond) ইত্যাদি।
গ্রাইন্ডিং হুইল তৈরিতে ব্যবহৃত বন্ডিং পদার্থ যেমন-
• ভিটরিফাইড (Vitrified)
• রেজিনয়েড (Resinoid)
• সিলিকেট (Silicate)
• শেলাক (Shellac)
• রাবার (Rubber) ইত্যাদি।
অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড একটি মজবুত ও সূঁচালো অ্যাব্রোসিড (Abrasive) পদার্থ। ইহা দিয়ে তৈরি গ্রাইন্ডিং হইল উচ্চ টেনসাইল স্ট্রেংথ (Tensile Strength) বিশিষ্ট ধাতুকে ক্ষয় করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন-কার্বন স্টিল, অ্যালয় স্টিল, শক্ত ও নরম স্টিল, রট আয়রন, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি। অ্যাব্রোসিভ এর আকার বড় হলে ধাতুকে দ্রুত কাটিং বা ক্ষয় করা যায় এবং ছোট হলে ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়। এতে কার্যবস্তুর পৃষ্ঠতল অপেক্ষাকৃত বেশি মসৃণ ও সুন্দর করা যায়।
সিলিকন কার্বাইড অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড থেকে অনেক শক্ত এবং ভঙ্গুর হয়। এর সাহায্যে অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডকেও কাটা যায়। এটি কম টানা বল (লো টেনসাইল স্ট্রেংথ) বিশিষ্ট ধাতু যেমন- ঢালাই লোহা, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, রাবার, টাংস্টেন কার্বাইড, মার্বেল, সিরামিক, ম্যাগনেসিয়াম, প্লাস্টিক, ফাইবার ইত্যাদি গ্রাইন্ডিং করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ডায়মন্ড সাধারণত দুই প্রকারের হয়
• কৃত্রিম ডায়মন্ড (Artificial Diamond )
• প্রাকৃতিক ডায়মন্ড (Natural Diamond)
খনি থেকে প্রাকৃতিক ডায়মন্ড পাওয়া যায় এবং ইহার মূল্য অনেক বেশি। এর সাহায্যে বিভিন্ন প্রকার মূল্যবান এবং আকর্ষণীয় অলংকার সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়। কৃত্রিম ডায়মন্ড শিল্প কারখানায় তৈরি করা হয় ফলে এর মূল্য কম। এর গুণগত মান প্রায়ই একই রূপ বিধায় গ্রাইন্ডিং হুইল উৎপাদন শিল্পে প্রাকৃতিক ডায়মন্ডের তুলনায় কৃত্রিম ডায়মন্ডের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়মন্ড সবচেয়ে শক্ত পদার্থ। মিতব্যয়িতার জন্য ডায়মন্ড হইল সম্পূৰ্ণৰূপে কৃত্রিম ডায়মণ্ড কথা ও ৰন্ডিং মেটেরিয়ালের সাহায্যে তৈরি করা হয়।
গ্রাইন্ডিং মেশিনের কাঠামো অনুসারে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা যায়-
• বেঞ্চ (Bench) গ্রাইন্ডার
• প্যাডেস্টাল (Pardestal) গ্রাইন্ডার
• টুল অ্যান্ড কাটিং (Tool and Cut) গ্রাইন্ডার
● হ্যান্ড (Hand) গ্রাইন্ডার ইত্যাদি।
গ্রাইন্ডিং কাজ করতে করতে যখন গ্রাইন্ডিং পাথরের ধারালো নষ্ট হয়ে যায় অর্থাৎ অ্যাব্রোসিভ গ্ৰেইনগুলি ভোঁতা হয়ে যায়; তখন গ্রাইন্ডিং হুইল দিয়ে কাজ ভাল হয় না। তখন ড্রেসার হুইলের মাধ্যমে ড্রেসিং করে নষ্ট গ্রেইনগুলি অপসারণ করে পুনরায় কার্যক্রম করার পদ্ধতিকেই ড্রেসিং বলে। যে টুলের মাধ্যমে গ্রাইন্ডিং হুইল ফ্লেসিং করা হয় তাকেই গ্রাইন্ডিং হুইল ড্রেসার বলে।
ট্রয়িং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাইন্ডিং হইলে বিকৃত আকারকে ঠিক করা হয়। প্রাইভিং করতে করতে হুইলের আকৃতি নষ্ট হয়ে যায় অর্থাৎ আৱাসিড গ্রেইনগুলি এগ্রোথেরো হয়ে গ্রাইন্ডিং হুইলের আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায় তখন ড্রয়িং করে ফুল আকৃতিতে ফিরে আনা হয়।
• স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;
• প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
• জৰ অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, মেটেরিয়্যাল সিলেট ও কালেক্ট করা;
• ড্রয়িং অনুযায়ী গ্রাইন্ডিং এর জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ করা;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
• অন্তত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
• ওয়েস্টেজ (Wastage) ও স্কাপগুলি (Scraps) নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
• কাজ শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জনা দেওয়া ইত্যাদি।
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
সেফটি হেলমেট | স্ট্যান্ডার্ড/আদর্শমানের | ১টি |
সেফটি গগলস | কাল ফ্রেম যুক্ত ৩.০ আইআর | ১টি |
অ্যাপ্রন | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১টি |
মাস্ক | আদর্শমানের | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | কাপড়ের তৈরি | ১ জোড়া |
নিরাপদ জুতা | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১ জোড়া |
যন্ত্রপাতির নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমান |
---|---|---|
গ্রাইন্ডিং মেশিন | ১টি | |
মেশিন ব্রাশ | নরম ও প্রাকৃতিক কাঠের বা প্লাষ্টিকের বাট | ১টি |
গ্রীজ গান | ওয়ার্কশপ সাইজ | ১টি |
স্পার্ক টেস্ট চার্ট | ম্যানুয়েল/বুকলেট | ১টি |
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
টুল বিট বার | হাই স্পিড স্টিল ১০ মিমি x ১০ মিমি x ৬০ মিমি | ১টি |
ওয়েস্ট কটন | যেকোনো আকারের নরম ও সুতি কাপড়ের | ২ টুকরা |
কুল্যান্ট | নমুনা মোতাবেক | ২ লিটার |
১. প্রয়োজনীয় পিপিই পরিধান করো;
২. ছকে উল্লেখিত তালিকা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মালামাল এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করো;
৩. প্রথমে টুল ৰিটের জন্য ধাতু (Metal) নির্বাচন কর। ড্রয়িং এ উল্লেখিত পরিমাপ অনুযায়ী হাই স্পি স্টিলের একটি টুকরা নিয়ে যে পার্শ্বের কাটিং এজ তৈরি করবে, সে পার্শ্বের ফাইবার ও সাইন পেন দিয়ে লে-আউট করে লও;
৪. ড্রয়িং ও টুল জিওমেট্রি অনুসারে কার্যবস্তুকে গ্রাইন্ডিং মেশিনের টুল রেস্টের উপর ভালভাবে চেপে ধরে একপাশ থেকে গ্রাইন্ডিং করা শুর কর। প্রথমে ৩০° কোণে ব্যক র্যাক অ্যাঙ্গেল তৈরি কর এবং ফেসকে এমন ভাবে শ্যাঙ্কের সাথে মিলায়ে গ্রাইন্ডিং কর যাতে চিপস সহজেই গড়িয়ে পরতে পারে। একই ভাবে ফ্ল্যাঙ্কগুলিকে গ্রাইন্ডিং করে ড্রয়িং এর সাথে মিলিয়ে নাও;
৫. সাইড কাটিং এজ (১৫° কোণে), এন্ড কাটিং এজ (১৫° কোণে), সাইড রিলিফ অ্যাঙ্গেল (৭° কোণে), সাইড র্যাক অ্যাঙ্গেল (৭° কোণে) ও এন্ড রিলিফ অ্যাঙ্গেল (৭° কোণে) প্রস্তুত করে বিভেল প্রোট্রাক্টর দিয়ে মেপে নিশ্চিত হও;
৬. মাঝে মাঝে কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার করে টুলের ক্র্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণে রাখব। টুলের লাইফ ঠিক রাখার জন্য কুল্যান্ট ব্যবহার করা জরুরি। হাই স্পিড স্টিলের ক্ষেত্রে উচ্চ তাপমাত্রায় ( ৬৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়) টুলের কাঠিন্যতা হ্রাস পায়;
৭. তৈরিকৃত টুল বিট ড্রয়িং মোতাবেক পরীক্ষণ শেষে গ্রিজ মাখিয়ে কাগজ দিয়ে ভাঁজ করে এর উপর তোমার শ্রেণি আইডি লিখে জমা দাও;
৮. ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের শেষে স্থান পরিষ্কার কর এবং অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করো;
৯. ওয়েস্টেজ ও স্ক্র্যাপগুলি নির্ধারিত স্থানে ফেলে দাও এবং কাজের শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দাও ইত্যাদি।
• কাজের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করো;
• মেশিন পরিষ্কার করে যথাস্থানে তৈল করো;
• কাজের স্থান পরিষ্কার করে পিচ্ছিল মুক্ত করো;
• প্রয়োজনমত মেশিন গার্ড ব্যবহার করো; মাঝে মাঝে মাপ পরীক্ষা করো;
• পর্যাপ্ত কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার কর এবং অসমান হুইলে গ্রাইন্ডিং করা থেকে বিরত থাক;
• হুইলে টুয়িং ও ড্রেসিং প্রয়োজন হলে করে নাও এবং গ্রাইন্ডিং করার সময় অন্যমনস্ক হওয়া থেকে বিরত থাক;
• গ্রাইন্ডিং করার সময় হাত ও আঙ্গুল যেন কোন অবস্থাতেই হুইলে স্পর্শ না করে সেদিকে খেয়াল রাখা ইত্যাদি।
সফল ভাবে সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করার দক্ষতা অর্জন করবে এবং রিলেটেড জবগুলি সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই সতকর্তা অনুশীলন করতে হবে। সঠিকভাবে কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করার দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং অন্যান্য একই প্রকৃতির কাজের আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
বিটের ব্যাস ৩.৫ মিমি, ডেপথ অফ কাট ১০ মিমি, পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল ১১৮° থেকে ১৩৫, লিপ-রিলিফ অ্যাঙ্গেল ৭° থেকে ১৫° চিহ্নে এজ অ্যাঙ্গেল ১২৫° থেকে ১৩৫, হেলিক্স অ্যাঙ্গেল ১৫০ থেকে ৩০০°।
• স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;
• প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
• জৰ অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, মেটেরিয়াল সিলেক্ট ও কালেক্ট করা;
• ড্রয়িং অনুযায়ী প্রাইন্ডিং এর জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ করা;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
• অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
• নষ্ট মালামাল (Wastage) ও স্ক্যাপগুলি (Scraps) নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
• কাজ শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেওয়া ইত্যাদি।
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
সেফটি হেলমেট | স্ট্যান্ডার্ড/আদর্শমানের | ১টি |
সেফটি গগলস | কাল ফ্রেম যুক্ত ৩.০ আইআর | ১টি |
অ্যাপ্রন | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১টি |
মাস্ক | আদর্শমানের | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | কাপড়ের তৈরি | ১ জোড়া |
নিরাপদ জুতা | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১ জোড়া |
যন্ত্রপাতির নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমান |
---|---|---|
গ্রাইন্ডিং মেশিন | বেঞ্চ/হ্যান্ডেড গ্রাইন্ডার কারোরানভাস Carborandum) এর হুইল (Wheel) | ১টি |
মেশিন ব্রাশ | নরম ও প্রাকৃতিক কাঠের বা প্লাষ্টিকের বাট | ১টি |
গ্রীজ গান | ওয়ার্কশপ সাইজ | ১টি |
স্পার্ক টেস্ট চার্ট | ম্যানুয়েল/বুকলেট | ১টি |
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
টুইস্ট ড্রিল বিট | হাই স্পিড স্টিল ব্যাস ১৫ মিনি দৈর্ঘ্য ৬৩ মিমি | ১টি |
ওয়াস্ট কটন | যেকোনো আকারের নরম ও সুতি কাপড়ের | ৩ টুকরা |
• প্রয়োজনীয় পিপিই পরিধান করো;
• ছকে উল্লেখিত তালিকা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মালামাল এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করো; ড্রয়িং ও টুল জিওমেট্রি অনুসারে ড্রিল বিটকে গ্রাইন্ডিং করার জন্য ড্রয়িং বুঝে নাও;
• ডায়মন্ড পয়েন্ট হুইল ড্রেসারের সাহায্যে হুইলটি ড্রেসিং করে নাও;
• টুইস্ট ড্রিল বিট গ্রাইন্ডিং করার জন্য ফাইন গ্রেইনের হুইল নির্বাচন করো;
• প্যাডেস্টাল গ্রাইন্ডারের সুইচ অন করে মেশিন চালু করো;
• ড্রেসিং সম্পন্ন হয়ে গেলে সুইচ অফ করে মেশিন বন্ধ করব; হাতের সাহায্যে টুইস্ট ড্রিলবিট প্রদর্শিত ছবি অনুযায়ী সঠিকভাবে গ্রাইন্ডিং হুইলে ধর;
• ড্রিল বিটের কাটিং অ্যাঙ্গেল যাতে অক্ষের সাথে ৫৯° হয় সেভাবে ড্রিল বিট গ্রাইন্ডিং হুইলে ধর;
• গ্রাইন্ডিং করার সময় লক্ষ্য রাখবে যেন কাটিং এজদ্বয় সমান থাকে, এবং কাটিং এজের
• পিছনের দিকে ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল ১২° থেকে ১৫° পর্যন্ত বজায় রাখ; হাত দিয়ে গ্রাইন্ডিং করার সময় প্রথমে সতর্কতার সাথে ডান হাতে ড্রিলের শ্যাঙ্ক ও বাম হাতে
• ড্রিলের অগ্রভাগ ধরে এমনভাবে গ্রাইন্ডিং কর, যাতে কাটিং অ্যাঙ্গেল, ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল ও ডেড সেন্টার ঠিক থাকে;
• গ্রাইন্ডিং করার সময় ড্রিল বিটের মুখ যেন গরম না হয়, তাই বার বার কুল্যান্টে ডুবিয়ে ঠান্ডা কর। হাই স্পিড স্টিলের ক্ষেত্রে উচ্চ ক্র্যাঙ্ক তাপমাত্রায় (৬৫০ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেড) টুলের কাঠিন্যতা হ্রাস পায়;
• ড্রিল বিট গ্রাইন্ডিং করার মাঝে মাঝে মেজারিং টুল দিয়ে মাপ পরীক্ষা করো;
• জব সম্পন্ন হলে গ্রিজ মেখে কাগজ দিয়ে মুড়ে তোমার শ্রেণি আইডি লিখে জমা দাও ;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করো;
• অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করো;
• ওয়াস্ট ও স্ক্র্যাপগুলি নির্ধারিত রাখ;
• কাজের শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দাও ইত্যাদি।
কাজের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করো;
মেশিন পরিষ্কার করে যথাস্থানে তৈলাক্ত করো;
কাজের স্থান পরিষ্কার করে পিচ্ছিল মুক্ত করো;
প্রয়োজনমত মেশিন গার্ড ব্যবহার করো;
মাঝে মাঝে মাপ পরীক্ষা করো;
পর্যাপ্ত কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার কর এবং অসমান হইলে গ্রাইন্ডিং করা থেকে বিরত থাক;
হুইলে টুয়িং ও ড্রেসিং প্রয়োজন হলে করে নাও এবং গ্রাইন্ডিং করার সময় অন্যমনস্ক হওয়া থেকে বিরত থাক;
• গ্রাইন্ডিং করার সময় হাত ও আঙ্গুল যেন কোন অবস্থাতেই হুইলে স্পর্শ না করে সেদিকে খেয়াল রাখবে ইত্যাদি।
সফল ভাবে স্ট্রেইট শ্যাঙ্ক টাইপ টুইস্ট ড্রিল বিট গ্রাইন্ডিং করার দক্ষতা অর্জন করবে এবং রিলেটেড জবগুলি সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই সতকর্তা অনুশীলন করতে হবে। সঠিকভাবে কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করার দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
১. গ্রাইন্ডিং ও টুল গ্রাইন্ডিং বলতে কী বোঝায়?
২. কাটিং টুল প্রধানত কত প্রকারের হয়?
৩. টুল জিওমেট্রি বলতে কী বুঝায়?
৪. নোজ রেডিয়াস এঙ্গেল কী?
৫. গ্রাইন্ডিং হইলে ড্রেসিং ও টুয়িং কেন করা হয়?
১. গ্রাইন্ডিং হুইল নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়গুলি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
২. গ্রাইন্ডিং মেশিনে নিরাপদে কাজ করার জন্য সতর্কতার বিষয়াদি বর্ণনা কর।
৩. সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের ডায়াগ্রাম অংকন করে টুল জিওমেট্রি দেখাও।
৪. সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুল ও মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুলের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য লিখ।
৫. সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলে ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেলের প্রয়োজন হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
(ক) কার্যবস্তুর সারফেস ফিনিসের জন্য।
(খ) কাটিং ফ্লুইড বা কুল্যান্ট দ্রুত অপসারণের জন্য।
(গ) কার্যবস্তুর ঘর্ষণ কমানোর জন্য ।
(ঘ) কার্যবস্তু হতে উৎপাদিত চিপস সহজে অপসারণ ও টুকরা করার জন্য।
১. গ্রাইন্ডিং হুইলের স্পেসিফিকেশন কিভাবে উল্লেখ করতে হয়? ২. গ্রাইন্ডিং করার বিভিন্ন ধাপ বর্ণনা কর।
৩. গ্রাইন্ডারের বিভিন্ন ওয়ার্ক হোল্ডিং ডিভাইসের ব্যবহার বর্ণনা কর।
৪. কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার বর্ণনা কর।
৫. গ্রাইন্ডিং মেশিন চালানোর ক্ষেত্রে সতর্কতার বিষয়াদি বর্ণনা কর।
৬. একটি সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের ছবি অংকন করে টুল জিওমেট্রি বর্ণনা কর। ৭. একটি ড্রিল বিটের ছবি অংকন করে টুল জিওমেট্রি দেখাও ও বর্ণনা কর।
Read more